ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

‘কুড়িল ফ্লাইওভার দেখলে মনে হয় বিদেশি সিনেমার দৃশ্য’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:২৮, মে ২, ২০১৯
‘কুড়িল ফ্লাইওভার দেখলে মনে হয় বিদেশি সিনেমার দৃশ্য’ শ্রম ও কর্মংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: রাজধানী ঢাকার কুড়িল ফ্লাইওভার দেখলে মনে হয় কোনো বিদেশি সিনেমার দৃশ্য। আর চট্টগ্রামের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার দেখলে মনে হবে বিদেশের কোনো শহর। এমনটাই মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

বুধবার (১ মে) মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এসময় দেশের উন্নয়নের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ৬-৭ বছর আগে বিদেশ গিয়েছেন এমন কেউ আজ দেশে এসে কুড়িল ফ্লাইওভার দেখলে মনে হবে বিদেশি সিনেমার দৃশ্য।

আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার দেখলে মনে হবে বিদেশের কোনো শহর। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের চিত্র।  

শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আগে একজন রিকশাচালক বা শ্রমিক একদিন কাজ না করলে তার বাসায় চুলা জ্বলতো না। এখন সে চাইলে মাসে ১৫ দিন কাজ করলেই হয়, বাকি দিন কাজ করলে সঞ্চয় হবে।  

এসময় আওয়ামীলীগকে শ্রমিকবান্ধব দল ও সরকার দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। আমাদের সরকারই শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করেছে। এখানে প্রায় ৩শ কোটি টাকা জমা আছে। পোশাক শ্রমিকদের কল্যাণে এই অর্থ ব্যয় হচ্ছে। আগে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬শ টাকা ছিল। আমরা ৮ হাজার টাকা করেছি যা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পোশাকশিল্পের মালিকদের আইন অনুযায়ী, নেট মুনাফা থেকে ৫ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে দিতে হবে। ঈদের আগে রোজার মধ্যেই শ্রমিদের বেতন দিয়ে দিতে হবে। যেসব মালিক বেতন দিতে পারবে না তারা কারখানা বন্ধ করে দিক। কিন্তু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে তাদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে না; এটা মানা যায় না।  

এসময় সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, মালিক-শ্রমিকের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। শিল্প থাকলে শ্রমিক কাজ করতে পারবে। না থাকলে কোথায় কাজ করবে? আবার শ্রমিকদের খেয়াল রাখতে হবে। তাদের সুখ-দুঃখ দেখার দায়িত্ব মালিকদের।  

আলোচনা সভায় বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, আমাদের উদ্যোগ পোশাক নিয়ে। লোকে বলে আমরা সুতা বুনি। আমি বলি, আমরা সভ্যতা বুনি। এই কৃতিত্ব মালিকদের একার নয়, সবার। সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ভাইবোনদের। আমাদের শিল্পের কারিগররা যেন সুখে-শান্তিতে দুধে-ভাতে থাকে। রানা প্লাজার মতো দৃশ্য আমাদের যেন আর দেখতে না হয়।  

আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব উম্মুল হাসনা, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমান, বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল টি রহমান এবং আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুয়োমো পোও টি আইনেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।