ঘটনা গত ১৯ এপ্রিলের। রিজেন্ট এয়ারওয়েজ একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে ছুটিতে দেশে বেড়াতে আসেন ধামরাইয়ের আশরাফ হোসেন।
কিন্তু এর মধ্যে ল্যাপটপটি পেয়ে সেখান থেকে নম্বর নিয়ে আর্মড পুলিশ খুঁজে বের করে আশরাফকে। এরপর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে তাকে বুঝিয়ে দেয় ল্যাপটপটি।
অভিভূত আশরাফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি ল্যাপটপ হারিয়ে ফেলেছি বিমানবন্দরে। বিশ্বাসই করতে পারছি না, যে ফেরত পাবো। আমার ভাগ্নে আমাকে বলেছিল এয়ারপোর্টে এসে অভিযোগ করতে। অভিযোগ করার আগে আর্মড পুলিশই আমাকে ডেকে ল্যাপটপ ফেরত দিলো। এখনো আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, কিভাবে তারা আমার নাম্বার পেলো, কিভাবে খুঁজে বের করলো আমাকে!
এ বিষয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিনই মূল্যবান জিনিসপত্র পাই। যেমন ল্যাপটপ, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা ফেরত দিতে পারি। বিভিন্নভাবে আমরা যোগাযোগ করি যাত্রীদের সাথে।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের গায়ে ট্যাগ থাকলে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কোনো রকম চিহ্ন বা ট্যাগ থাকে না। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। না পেলে কাস্টমসের গোডাউনে জমা দিয়ে দেই।
আলমগীর হোসেন বলে, বিমানবন্দর থেকে কোনো কিছু চুরি বা হারায় না। ছোট জিনিস হারালেও অভিযোগ করলে আমরা ফিরিয়ে দেই। আর্মড পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে কিন্তু জিনিস ফেরত পায়নি এমন ঘটনা এখন নেই বললে চলে। কারণ হচ্ছে, এয়ারপোর্ট সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বহিরাগত ও অপরাধীদের ঢোকার রাস্তা বন্ধ। ফলে যাত্রীরা যেখানে, যে জিনিস ফেলে যায়। সেটা সেখানেই থাকে। সেখান থেকে আমরা উদ্ধার করে যাত্রীদের ফিরিয়ে দেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এমএমআই/এইচএ/