শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে কক্সবাজারের একটি হোটেল ইউএনইএচসিআর, আইওএম ও ইউএনওসিএইচএ এর যৌথ সংবাদ সন্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউএনিইচসিআর এর প্রধান বলেন, রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে যে সমস্ত প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নেও নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, কফি আনান কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হলে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে। কারণ এখনও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ চলাফেরা, নাগরিকত্বের বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (হিউম্যান অ্যাফেয়ার্স) মার্ক লোকক ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর মহাপরিচালক অ্যান্থোনিও ভিতোরিনো উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সন্মেলনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের এ অঞ্চলের মানুষ নানাভাবে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তাই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় ৩ লাখ মানুষের কথা চিন্তা করে এক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ।
এর আগে শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) সহ আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থার তিন প্রধানের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
এ সময় তারা উখিয়ার বালুখালীতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি এর বিভিন্ন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরে দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং মেঘা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং আইওএম ও ইউএনএইচসিআর-এর বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
এর আগে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেন। পরে বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার ত্রাণ ও রোহিঙ্গা শরণার্থী কমিশনারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তারা।
গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ঢাকায় পৌঁছে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলটি সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এসবি/এমএ