বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে সিআরপি থেকে বের হন যান তিনি।
জানা যায়, প্রথমে তিনি ঢাকার বাসায় যাবেন তারপর সেখান থেকে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ির নিজ বাড়িতে ফিরবেন।
মোহাম্মদ শফিক বাংলানিউজকে বলেন, রাসেল সরকার চার সপ্তাহের অনুশীলন মাত্র এক সপ্তাহে শেষ করেছেন। তিনি এখন সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক মানুষের মতো চলাফেরা করতে পারছেন। রাসেল যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সিআরপির পক্ষ থেকে তার পায়ের যাবতীয় চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে একদিন আগে সিআরপিকে অভিহিত করতে হবে। এমনকি রাসেল যদি ব্যবসা করেন সেক্ষেত্রেও তাকে আর্থিক সহযোগিতা করবে সিআরপি।
এ ব্যাপারে রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি সিআরপির কাছে কৃতজ্ঞ। সিআরপি ছাড়া মনে হয় আমার আর হাঁটা-চলা সম্ভব হতো না। ধন্যবাদ সিআরপি ও এই সংস্থার সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের। ’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রিন লাইন আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তাদের কাছে আমার খোঁজ রাখার দাবি জানাই। সিআরপির মতো যেন তারাও আমার পাশে থাকেন। ’
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রাসেল সরকার রাজধানীর আদাবর এলাকায় স্থানীয় একটি ‘রেন্ট-এ-কার’ প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালাতেন। ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের চালক ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেলকে চাপা দেয়। এতে তার বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বাংলাদেশে সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
জিপি