ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

নুসরাত হত্যাকাণ্ড: সোনাগাজীতে সিআইডি-ডিআইজির তদন্ত দল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৩১, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
নুসরাত হত্যাকাণ্ড: সোনাগাজীতে সিআইডি-ডিআইজির তদন্ত দল নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সঙ্গে কথা বলছে সিআইডির তদন্ত দল। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: নুসরাত হত্যাকাণ্ডে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন করেছেন সিআইডির তদন্ত দল। এ সময় ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন তারা।

এদিকে নুসরাত হত্যার ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের অবহেলা ও গাফিলতি তদন্তে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের গঠিত ডিআইজি এসএম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দলের দুইজন মঙ্গলবার সোনাগাজী পরিদর্শন করেছেন।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সিআইডির সদর দফতরের ইকোনোমিক ক্রাইম স্কোয়াড’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন, এছাড়া তদন্ত দলে সদস্য রয়েছেন সিআইডির পরিদর্শক আবদুর রহিম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হানুল ইসলাম সৈকত।

সিআইডির তদন্ত দল মঙ্গলবার বিকেলে সোনাগাজীর উত্তর চর চান্দিয়া গ্রামের নুসরাতের বাড়িতে যান ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।   

জানতে চাইলে সিআইডির ইকোনোমিক ক্রাইম স্কোয়াড’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে তিনি প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পেয়েছেন। বাকী ব্যাংকগুলো থেকেও তথ্য যাচাই-বাচাই করা হবে। ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ও তথ্য নেওয়ার পর সবগুলো যাচাই-বাচাই করে তিনি সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন।

এদিকে নুসরাত হত্যার ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের অবহেলা ও গাফিলতি তদন্তে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের গঠিত ডিআইজি এসএম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দলের দু’জন মঙ্গলবার সোনাগাজীতে আসেন। তারা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার সম্রাট মো. আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম ডিআইজি অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম।

এসময় তারা পৌর মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কারা এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছেন।

গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথম পত্র দিতে গেলে মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল থেকে মামলাটির দায়িত্ব পায় পিবিআই। সেই থেকেই গ্রেফতার হতে থাকে আসামিরা। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয় ২০ জন আসামি, আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ৮ জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।