বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমিনুর মাতুব্বর বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার তারিকাটা গ্রামের মুজাফফর মাতুব্বরের ছেলে।
জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ আলতলী থানায় অভিযোগ দাখিল দেন মামলার বাদী হোসনে আরা বেগম। এ ঘটনার দুই মাস আগে তার মেয়ে শামসুন্নাহার মুক্তার সঙ্গে আমিনুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমিনুর মুক্তার কাছে ২০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করেন। মুক্তা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে ২০০৬ সালের ১৮ মার্চ রাত ১১টায় মুক্তাকে মারধর করা হয়। পরে মুক্তাকে গলাটিপে হত্যা করে আমিনুর।
এরপর মুক্তার মরদেহ গোপন করার জন্য বাড়ির দক্ষিণ পাশে খালে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় আসামিরা পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় রফেজ ও আবদুল হাই চৌকিদার আমিনুরকে আটক করে আমতলী থানায় সোর্পদ করে। পরের দিন বাদী পাঁচজনকে আসামি করে আমতলী থানায় মামলা করেন। আমতলী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৯ এপ্রিল আমিনুর ও তার মা সখিনা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামি পক্ষে ছিলেন কামরুল আহসান মহারাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এনটি