মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ তাকে আটক করে।
পরে পর্নোগ্রাফি আইনে ডিএমপির রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম।
পুলিশের সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত বাদশাহ নিজেকে একজন ট্যাটু আর্টিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতেন। সম্প্রতি এক নারীর শরীরে ট্যাটু আঁকার একটি আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন তিনি। পরবর্তীতে সেই ভিডিও নিজের পরিচালিত ফেসবুক পেজ ও আইডিতে প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও গ্রেফতার করা যায়নি মামলার অপর আসামি ওই নারীকে।
এ বিষয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ভার্চুয়াল সাইটে এ ভিডিওটি প্রকাশিত হলে তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। সেটি আমাদের নজরেও এলে আমরা পদক্ষেপ নিই। ভিডিওটিতে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গির পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ শব্দে কথা বলা হয়েছে। আমরা দ্রুত বাদশাহকে গ্রেফতার করি এবং তার ফেসবুক পেজ, আইডি এবং সেই ভিডিওটিসহ তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় অনেকেই তা শেয়ার করেন এবং অনলাইনে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য মন্তব্য করেন। এ ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিযুক্ত ভিডিও নিঃসন্দেহে নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য হুমকি। তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে রমনা থানায় দায়ের মামলা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ভিডিওতে থাকা মেয়েটিকেও এ মামলার অন্যতম আসামি করা হয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি/