মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে নৌযান শিল্প সেক্টরে উদ্ভূত শ্রম অসন্তোষ নিরসনে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত ১১ দফা নিয়ে ত্রিপক্ষীয় (শ্রমিক, মালিক, সরকার) মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় শ্রম সচিব (ভারপ্রাপ্ত) উম্মল হাছনা, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এটিএম মিজানুর রহমানসহ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে ১১ দফা দাবি শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের বরাবর অবহিত করা হয়েছে, তা শিগগিরই সমাধান করা হবে। তবে শ্রমিকদের সুষ্ঠু জীবনমান পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানবিক বিষয়াদি (বিভিন্ন ধরনের ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা) যা গেজেটে উল্লেখ নেই, কিন্তু আগে থেকেই শ্রমিকরা ভোগ করে আসছেন, এমন বিষয়ে প্রয়োজনীয় দলিলপত্রের ভিত্তিতে অব্যাহত রাখা হবে। পাশাপাশি দাবির ১ থেকে ৭ পর্যন্ত আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে। ৮ থেকে ১১ নম্বর দাবি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকে নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে নৌ-পরিবহন শ্রমিকরা।
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া, ২০১৬ সালের বেতন স্কেলের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস, জাহাজে কর্মরত প্রত্যেক নৌ-শ্রমিককে মালিক কর্তৃক বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা, সমুদ্র ভাতা ও রাত্রিকালীন ভাতা প্রভৃতি।
এদিকে, নেতাদের ধর্মঘট ঘোষণার পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সদরঘাট, খুলনা ও মংলা বন্দর থেকে যাত্রীবাহী ও মালামালবাহী সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। একইসঙ্গে ধর্মঘটের পর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/