ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে ১২টি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
কর্মসূচিগুলো হলো- ব্যাটারিচালিত রিকশাকে স্বরূপে ফিরিয়ে আনা, বয়রা মহিলা কলেজ মোড় থেকে জোড়া গেট-শিববাড়ি-ডাকবাংলো হয়ে নূর অপটিকস মোড় পর্যন্ত রাস্তা ইজিবাইক/রিকশামুক্ত করা, রাস্তায় লেন মেনে গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করা, ফুটপাথ দখলমুক্ত করা, নির্দিষ্ট পার্কিং এলাকা নির্ধারণ করা, ফিটনেস ও রুটপারমিট বিহীন গাড়ি যাতে চলাচল না করতে পারে তা শতভাগ নিশ্চিত করা, ড্রাইভারের লাইসেন্স ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করা, মহাসড়কে ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, ভটভটি, লেগুনা ও অযান্ত্রিক যান বন্ধ করা, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনার জন্য গার্লস গাইড, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট ও কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যদের সম্পৃক্ত করা, মসজিদ এ জুমার নামাজের আগে ট্রাফিক আইন মানার ব্যাপারে মুসল্লিদের সচেতন করা, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের যথাযথ আইন মেনে গাড়ি চালাতে উদ্বুদ্ধ করা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ট্রাফিক পক্ষ-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কর্মসূচির ঘোষণা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির পিপিএম।
এর আগে পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বাইতুন নূর জামে মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়ক হয়ে শিববাড়ি মোড় পাবলিক হলের সামনে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ডিসি (সদর) এস এম ফজলুর রহমান; ডিসি (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন; ডিসি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্; ডিসি (ট্রাফিক) সাইফুল হক; এডিসি (দক্ষিণ) এমএম শাকিলুজ্জামান, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত); এডিসি (ট্রাফিক) কামরুল ইসলাম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত); এডিসি (আরসিডি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত); কেএমপির অন্যান্য কর্মকর্তা, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা।
র্যালি শেষে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন শিববাড়ি মোড় পাবলিক হলের সামনে ট্রাফিকপক্ষ-২০১৯ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন কেএমপি পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির পিপিএম।
ট্রাফিকপক্ষ-২০১৯ এর কার্যক্রম আগামী ৩০ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এমআরএম/এএ