রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই এমন দৃশ্য রাজধানীর শাহবাগ আর রমনায়। ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজন আর চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার পরও মানুষ উৎসবের আমেজে রয়ে গেছে পথে পথে।
লাল পাড়ের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে খোঁপায় ফুল গোঁজার জন্য শাহবাগ মোড়ে ফুল কিনছিলেন রিফাত আরা। কথা হলে বলেন, অফিসের কাজের ভিড়ে উদযাপনের সময়-সুযোগ খুব কমই হয়। আর নববর্ষ তো আমাদের আত্মার সংস্কৃতি। তাকে যদি উদযাপন না করি, তবে ঘরে বসে থেকে দিনটাই নষ্ট হবে।
রমনা পার্কে ঘুরতে আসা ফাহিম মুনির বলেন, বর্ষবরণ উপলক্ষে ছায়ানটের আয়োজন সব সময়ই প্রিয়। পুরো আয়োজন শেষে এখন এদিকেই ঘুরবো। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিকেলে কনসার্ট। তারপর আবার বন্ধুরা মিলে আড্ডা। নিজেদের বাংলাবর্ষের একটা দিন অন্তত নিজেদের মনের মতো করে উদযাপন করতে চাই।
নববর্ষের বর্ণিল আয়োজনে শামিল হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, রমনা, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান উৎসমুখর হয়ে ওঠে সংস্কৃতিপ্রেমীদের আনাগোনায়। বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার উৎসব উদযাপনে এদিন সাধারণ বাঙালির মতো আনন্দে মাতেন বিদেশিরাও।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলেজের শিক্ষিকা মিসেস ট্রেসি বলেন, পহেলা বৈশাখ অনেক মানুষের একটা মিলনমেলার উৎসব। আয়োজনের সঙ্গে মিল রয়েছে এখানকার মানুষেরও, তারা সবাই খুব আন্তরিক। বাংলা নববর্ষের এই দিনটা আমার খুব ভালো লাগছে। সবার মতো আমিও ঘুরে বেড়াচ্ছি আর আনন্দ করছি।
রোববার সকাল থেকেই দেখা যায় নতুন পোশাকেও বর্ণিল সাজে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন নগরীর জনগণ। অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন, আবার অনেকেই এসেছেন একা। কেউ হাতে রং-তুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত, কেউবা আবার খেয়েছেন লাল-নীল আইসক্রিম বা মুড়ি-মুড়কি। তাদের অনেকেই পরেছেন বাঙালির পোশাক পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি। সব মিলিয়ে উৎসবরে সবরটা রঙে নিজেদের রাঙিয়ে নিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
এইচএমএস/এএ