স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী একটি বিসিক শিল্প এলাকা। এখানকার মার্কেট ও কাঁচা বাজারে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের কোনাবাড়ী বাজার এলাকা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পূর্ব দিকে রাজাবাড়ী পর্যন্ত এবং প্রায় আধা কিলোমিটার পশ্চিম দিকে কোনাবাড়ী নতুন বাজার এলাকা পর্যস্ত প্রচন্ড কাদা ও নোংরা পানি জমেছে। এতে করে ঢাকা টাঙ্গাইল সড়কের পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতে পারছে না পথচারীরা। এছাড়া কোনাবাড়ী কাঁচা বাজারে প্রচন্ড কাদায় ক্রেতাদের হেঁটে চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে ও কোনাবাড়ী-আমবাগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানি জমেছে। খানাখন্দরে সৃষ্টি হয়েছে সড়ক দুটিতে। দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই চলছে মানুষ।
অপরদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের পাশে ভ্যান দাঁড় করিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাবার হোটেলের চুলা জ্বালানো হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় সড়কে চলাচলরত গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে আগুন লেগে যেতে পারে।
স্থানীয়রা অভিযোগ, কোনাবাড়ী এলাকায় আজমেরী কাউন্টারের পূর্ব পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের মধ্যে প্রতিদিন সকাল-বিকেল মাছবোঝাই ট্রাক ও পিকআপভ্যান আসে। সেখানে গাড়ি থামিয়ে মাছ নামানো হয় এবং ড্রামভর্তি মাছের নোংরা পানি সড়কের উপর ফেলা হচ্ছে। প্রশাসন দেখেও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে উল্টো পথে যানবাহন চলাচল করায় হঠাৎ করেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আর ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। সড়কে দায়িত্ব পালন করতে সব সময় পুলিশও থাকে না। আফসানা আক্তার নামে কলেজছাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, কোনাবাড়ী এলাকায় দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ি ছিটানো কাদা লেগে পোশাক নষ্ট হয়। এজন্য ওই পথে দিয়ে হেঁটে যাওয়া এখন দায় হয়ে পড়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ক্রেতা বাংলানউজকে বলেন, কাঁচা বাজারের হেঁটে হেঁটে বাজার করতে হয়। কাদার জন্য কোথাও শান্তি নেই। কোনাবাড়ীজুড়ে শুধু কাদা আর কাদা। তার সঙ্গে নোংরা পানি। হাঁটতে গেলে কাদায় হাঁটু গেড়ে যায়।
বর্ষাকালের আগেই এ অবস্থা বর্ষা এলে না জানি মহাদুর্ভোগ আছে কপালে যোগ করেন কবির নামে আরেক ক্রেতা।
সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশনের (সাসেক) উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশিষ মুখার্জি বাংলানিউজকে জানান, কোনাবাড়ী এলাকায় সড়কের দুইপাশে বর্তমানে কোনো ড্রেন নেই। যার ফলে পানি আটকে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। কোনাবাড়ী ফ্লাইওভারের কাজ শেষ না করে নিচে সড়কের কাজ করা যাচ্ছে না। এছাড়া আগামী জুন মাস নাগাদ কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার চালু করা হবে। তবে ড্রেনের কাজ চলছে। ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হলে নিচে রাস্তার কাজ করা হবে। এরপর থেকে মানুষের আর দুর্ভোগ থাকবে না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দীন মোল্লাকে মোবাইল ফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বার বার কল কেটে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
আরএস/এএটি