রোববার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হাসেম আলী দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বকুল মণ্ডলের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের দরিদ্র এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন একই গ্রামের বকুল মণ্ডলের ছেলে হাসেম আলী। এরপর ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই কিশোরী বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট আদালতে মামলা করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
দামুড়হুদা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি বাদী ও তার শিশু কন্যার ডিএনএ টেস্ট পরীক্ষা করে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একমাত্র আসামি হাসেম আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় তিনজনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি হাসেম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
একই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে ওই কিশোরীর শিশু কন্যার যতদিন বিয়ে না হবে ততদিন তার ভরণপোষনের দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
আলোচিত এ মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন, এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দীন খাঁন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এনটি