ঢাকা, রবিবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২২ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

নৌযান সুরক্ষায় একযোগে কাজ করার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৮, এপ্রিল ৩, ২০১৯
নৌযান সুরক্ষায় একযোগে কাজ করার আহ্বান নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান

ঢাকা: নৌযান সুরক্ষায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। নৌযান মালিক, শ্রমিক ও সরকার সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান নূর-ই-আলম চৌধুরী। নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, দখলমুক্ত, নদী রক্ষা, যাত্রীদের নিরাপত্তা এই সকল বিষয়ে শ্রমিক, মালিকপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। এটি এক বছর, দুই বছর এবং ৫ বছর মেয়াদী হতে পারে।

তিনি বলেন, নদী রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকারের আমলে নদী দখলমুক্ত হচ্ছে যা অতীতে কেউ করতে পারেনি। এমন জায়গা দখলমুক্ত হচ্ছে, এখানে যে নদী ছিল সেটা আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম।

লঞ্চ মালিকদের উদ্দেশে চিফ হুইপ বলেন, শুধু ব্যবসা করলেই চলবে না, যাত্রীদের সুরক্ষায় কাজ করতে হবে। যাত্রীদের ইন্স্যুরেন্স করানোর ক্ষেত্রে মালিকের ভূমিকা রাখতে পারেন।

তিনি বলেন, দেশে ২৬ হাজার জাহাজের অনুমোদন আছে। আর এগুলো চালানোর জন্য ২২৫ জন পাইলট রয়েছে। যদি চার ভাগের একভাগও জাহাজ প্রতিদিন চলে তাহলে কিভাবে কারা এগুলো চালায়। সুতরাং পাইলট ছাড়াই জাহাজ চলছে। তার মানে আমরা নিজেরাই আইন ভাঙছি।

চিফ হুইপ আরো বলেন, ২৬ হাজার জাহাজের জন্য ১০ জন্য সার্ভেয়ার আছে। ১০ জন দিয়ে কিভাবে এগুলো সার্ভে হয়? যদি সময় ভাগ করে ধরি তাহলে একটি জাহাজ ৫ সেকেন্ডের সময় পায়। তাই ৫ সেকেন্ডে কি সার্ভে হয়?

নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা ডেজার ক্রয় করে ডেজারের সংখ্যা বাড়ালে হবে না। এটির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না তা খেয়াল রাখতে হবে। আমরা বিদেশে কন্টেইনার পাঠাচ্ছি, পায়রা বন্দরের মতো বন্দর নির্মাণ করছি। বর্তমান সরকার নৌ সেক্টরকে গুরুত্বের সঙ্গে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

আলোচনা সভায় নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের ১০ বছরে নৌ সেক্টরে যে পরিবর্তন হয়েছে গত ৩৮ বছরে সেটি হয়নি। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ডেজারের সংখ্যা ছিল ৭টি। এখন সেটির সংখ্যা ৪০ এবং আরো ৩৫টি সংযুক্ত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, গত ১০ বছরে ড্রেজার বা ড্রেজিং কি সেটি মানুষ চিনেছে। এখন ড্রেজিং ব্যবসায় অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীরাও আসছেন। অর্থ্যা সরকার এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তারপরও আমরা আন্তর্জাতিক রুটে ক্রুজ চালু করেছি।

অনুষ্ঠানে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, নদী দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত রাখতে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে নাগরিকদের সচেতন করতে হবে আর এক্ষেত্রে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. রিয়াজ হাসান খন্দকার। বক্তব্য রাখেন কমডোর মাহবুব উল ইসলাম, নৌ পুলিশের ডিআইজ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, ক্যাপ্টেন আরিফ মাহমুদ এবং নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

“দূষণ, দখলমুক্ত করি, নৌ যাত্রা নিরাপদ করি, বিশ্বমানের নৌ ব্যবস্থার স্বপ্নকে সফল করি’— এই প্রতিপাদ্যকে নির্ধারণ করে গত ৩০ মার্চ থেকে সপ্তাহব্যাপী পালিত হচ্ছে নৌপরিবহন সপ্তাহ ২০১৯।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।