ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ২০ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

আগে থেকেই নষ্ট ছিল এফআর ভবনের ফায়ার অ্যালার্ম 

মাসুদ আজীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৭, মার্চ ২৯, ২০১৯
আগে থেকেই নষ্ট ছিল এফআর ভবনের ফায়ার অ্যালার্ম  কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবু হোসেন/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আমরা ১৩ তলায় প্রায় ২০-২৫ জন আটকে গিয়েছিলাম। আমার অফিস ছিল ১২ তলায় ডার্ড গ্রুপে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমরা আগুনের খবর পাই। কিন্তু তখন কোনো অ্যালার্ম ছিল না। ফায়ার অ্যালার্মটা আগে থেকেই নষ্ট ছিল।

‘১৩ তলায় ধোঁয়ার কারণে আমাদের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তখন আমরা চেয়ার দিয়ে জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলি।

বেঁচে থাকার জন্য সামান্যতম অক্সিজেনটুকু পাচ্ছিলাম। আর এর পরেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করেন। ’ 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা বনানীর অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ রোগীদের মধ্যে আবু হোসেন নামে একজন জানাচ্ছিলেন একথা।  

অগ্নিকাণ্ডের দিন ৪টার দিকে তিনি এফ আর টাওয়ার থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়ন। তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে সুস্থ আছেন তিনি। এমনকি শুক্রবার দুপুরে তিনি ছাড়পত্র পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। থাকেন মুগদা এলাকায়।  

আবু হোসেন বলেন, শেষ সময় ১২ তলা থেকে ১৩ তলায় যাওয়ার পর প্রচণ্ড তাপ ও ধোঁয়ার সম্মুখীন হয়েছিলাম আমরা। অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম। তাই সেখান থেকে আর এগোতে পারছিলাম না। তাছাড়া আমাদের মধ্যে অনেকেই উপরে ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে ছাদের গেট তালাবদ্ধ। তাই তারা আবার নেমে আসে।

পরে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে উদ্ধার কর্মীরা নেমে ছাদের গেট ভেঙে ফেলেন এবং আমাদের সহকর্মীদের উদ্ধার করেন। আর আমরা কয়েকজন ওই জানালার গ্লাস ভেঙে অক্সিজেন পাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় নেমে আসি। ওই গ্লাস না ভাঙতে পারলে হয়তো আমরা অক্সিজেনের অভাবে সেখানেই মারা যেতাম। আমাদের অন্য সহকর্মীরাও এখন সুস্থ আছেন। বেশিরভাগই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। বলছিলেন আবু হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।