বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে ২২ তলাবিশিষ্ট এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই ভবনে আটকে পড়াদের খোঁজে আসতে থাকেন অনেকেই।
রাজধানীর মিরপুর থেকে বড় ভাই মোতাহার হোসেনের (৪১) খোঁজে আসেন ছোট ভাই মহিউদ্দিন হোসেন। ভবনটির ১৪ তলায় থাকা ডার্ড গ্রুপের একটি অফিসে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। বেলা আড়াইটার দিকে শেষবার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মহিউদ্দিন। এরপর থেকে ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ।
ভাগ্নি অপরাচিতা বড়ুয়ার খোঁজে এসেছেন খালা সঙ্গীতা দে। ভবনটির একটি অফিসে কাজ করেন অপরাচিতা।
১৩ তলার একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা দুলাভাই মোহাম্মদ আরিফ। তার খোঁজে এসেছেন হাসিনা খাতুন।
আটতলার একটি প্রতিষ্ঠান আসিফ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম রাজু। প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বের হয়ে এসেছেন। নিখোঁজ আছেন রাজুসহ চারজন। তার খোঁজে এসেছেন স্ত্রী রবেয়া আক্তার। আগুন লাগার আগে পৌনে ১২টায় শেষবার শুনেছিলেন স্বামীর কণ্ঠস্বর। আগুন লাগার পর থেকে নিজেই একরকম বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী এমনকি সাংবাদিকদেরও জিজ্ঞেস করছেন স্বামীর খোঁজ। ছবি দেখিয়ে জানতে চাইছেন তাকে কেউ দেখেছে কি না।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে স্বজনদের ভিড়।
ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। যোগ দিয়েছেন সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে সব কর্মীদের সহায়তা করছে আশপাশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে। ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেছে ফায়ার কর্মীরা ও সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এসএইচএস/আরআর