তবে এই হিসাবের বাইরে আরো কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন আহত ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ-উন-নবী বলেন, এ পর্যন্ত ৩৯ জন এ হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসারত রয়েছেন।
তবে হাসপাতাল পরিচালকের এই বক্তব্যের পর আরো দুইজন রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। যার কারণে সর্বমোট আহত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১।
হাসপাতাল পরিচালক বলেন, এইসব রোগীদের সবাই ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখানে গুরুতর আহত কোনো রোগী নেই। অর্থাৎ আইসিইউতে কোনো রোগী নেই। আমরা যে পরিমাণ রোগী আসার আশঙ্কা করেছিলাম সে পরিমাণ আহত লোক বা সে পরিমাণ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছি। আরো রোগী এলেও আমরা সামাল দিতে পারবো। আমাদের বেড প্রস্তুত আছে। তাছাড়া এখানে একজন মৃত শ্রীলঙ্কান নাগরিক রয়েছেন (নাম নিরস ভিগ্নে রাজা)। তিনি অগ্নিকাণ্ডের পর ভয়ে বিল্ডিংয়ের উপর থেকে লাফ দিয়ে পড়েছেন। মৃত অবস্থায় তাকে আমাদের এখানে আনা হয়। বর্তমানে মর্গে মরদেহটি রাখা হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ-উন-নবী আরো বলেন, আরো বেশ কিছু সংখ্যক রোগী এসেছেন যারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। অনেকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কেউ কেউ এসে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঝুঁকিমুক্ত হবার পর অন্য হাসপাতালে যেতে চেয়েছেন। আমরা রিলিজ দিয়ে দিয়েছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজে জানিয়ে রাখা হয়েছে। আর সরকারের নির্দেশনা তো রয়েছেই প্রয়োজনে অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার।
এর আগে হাসপাতালটি পরিদর্শনে আসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সামসুজ্জামান। তিনি হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের খোঁজ-খবর নেন ও চিকিৎসার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। এ সময় তাকে বিস্তারিত জানান হাসপাতালটির পরিচালক।
এ সময় দেখা যায়, হাসপাতালের ৫ তলায় জেনারেল ওয়ার্ডে আহত রোগীরা চিকিৎসাধীন আছেন। তারা সবাই শঙ্কামুক্ত। তবে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বেশিরভাগ রোগী।
কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মতে অতিরিক্ত ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করার ফলে এ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া কয়েকজন রোগীর গায়ে আগুনের আচ লেগেছে, কিন্তু পোড়েনি। রোগীদের এদের মধ্যে একজন পোড়া রোগীকে হাসপাতালে দেখা গেছে। তবে তিনি গুরুতর আহত নন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এমএএম/এমজেএফ