ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

পূণ্যসেবার মধ্য শেষ হলো সাধুসঙ্গ, চলবে উৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩৯, মার্চ ২১, ২০১৯
পূণ্যসেবার মধ্য শেষ হলো সাধুসঙ্গ, চলবে উৎসব

কুষ্টিয়া: বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের স্মরণোৎসবে ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে পূণ্যসেবার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সাধুদের মূল সাধুসঙ্গ। তবে স্মরণোৎসব চলবে আরও একদিন।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালের বাউলের চারণভূমিতে আসা হাজার হাজার লালন ভক্ত ও সাধু-গুরুদের কর্তৃপক্ষের দেওয়া অধিবাসে পায়েস ও মুড়ির বাল্যসেবা নেন।  

তারা মরা কালীগঙ্গায় গোসল শেষে ইলিশ মাছ-ভাত ও ত্রিব্যঞ্জন দিয়ে (তিন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি তরকারি) দুপুরের খাবার পূণ্যসেবা গ্রহণ করেন।

দুপুর ১টার দিকে লালন একাডেমির প্রধান ফটক তখন বন্ধ। ভিতরে লাইন দিয়ে কলাপাতা সামনে নিয়ে হাজার হাজার সাধু ফকিরের অপেক্ষা। সবাই খাবার পাবার পর বিশেষ আওয়াজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হলো বিতরণ শেষ। এবার খাওয়া শুরু হলো একযোগে। ইলিশ মাছ, ভাত ও সবজি দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বাউল, সাধু ফকির পূণ্যসেবা নেন।  

এছাড়াও দই মিষ্টি খাওয়ানো হয়। দাওয়াত ছাড়াই মানুষ ছুটে আসে দলে দলে। কোনো সে উদাসী ডাকে তা কেউ জানে না।

কুষ্টিয়া লালন মাজারের খাদেম ফকির মহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, সকালে বাল্যসেবা, দুপুরে পূণ্যসেবার মধ্য দিয়ে সাধুদের মূল সাধু সঙ্গ শেষ হয়েছে। কিছু কিছু সাধুরা চলে যাবেন। আবার কেউ কেউ থেকে যাবেন শুক্রবার পর্যন্ত। আবার সাধুদের দেখা যাবে সাঁইজির তিরোধান দিবসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।