বিগত বছরের সব ব্যর্থতা ও গ্লানি পেছনে ফেলে এদিনে বাঙালি জাতি মেতে ওঠে প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপনে। পহেলা বৈশাখের প্রথম সূর্য কিরণে উদ্ভাসিত হবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনা।
সারাদেশের সব ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেণিপেশার মানুষ বছরের প্রথম দিনটিতে মেতে থাকবে নাচ-গান, উৎসব-আনন্দে। দিনভর চলবে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়। ঘরে ঘরে সামর্থ্য অনুযায়ী হবে পান্তা, হরেক রকমের ভাজি-ভর্তা আর পিঠা-পুলির আয়োজন। বর্ণিল সাজে সারাদিন চলবে ঘোরাঘুরি। শহর থেকে গ্রাম, সবখানেই থাকবে উৎসবের আমেজ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নতুন বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। এর পরেই রমনার বটমূল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চারুকলা, টিএসসি, ছবির হাট, ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর, পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কসহ রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দিনের সূর্য বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত নববর্ষ উদযাপন করবে সবাই।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি উদযাপন করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রধান প্রধান শহর-নগর-বন্দরে উদযাপন করা হচ্ছে উৎসব। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখী মেলার।
এদিকে, সরকারি এ ছুটির দিনটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও রয়েছে বিশেষ আয়োজন।
অন্যদিকে জাতি যাতে নির্বিঘ্নে বৈশাখের উৎসব উদযাপন করতে পারে সেজন্য সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৯ ঘণ্টা এপ্রিল ১৪, ২০১৮
এমএসি/এসআই