জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সি (সিডকা)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশের নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা সহায়তা প্রকল্প (এলএসইউপিসিবি) উদ্বোধন করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
সিডকার নেতৃত্বে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন ফান্ড (জিডিএফ) এর অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও চাঁদপুরের প্রান্তিক পরিবারের আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন এবং সহনশীলতা জোরদার করা।
এটি চীনের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) ও বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন অগ্রাধিকারের প্রতি যৌথ প্রতিশ্রুতির একটি অংশ।
এ প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী মোট কার্বন নিঃসরণের মাত্র ০.৩৫ শতাংশেরও কম অবদান রাখলেও সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পটি আমাদের নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা শক্তিশালী করা, তাদের মর্যাদা রক্ষা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সহনশীলতা গড়ে তোলার একদারিদ্র্যটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ”
বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের বাণিজ্য কাউন্সেলর সঙ ইয়াংও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবিকা উন্নয়নে বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়ে তুলতে আমরা ইউএনডিপি সহ আরও অনেকের সাথে কাজ করছি যেখানে দারিদ্র্য শুধুই অতীত হবে। ”
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউএনডিপি বাংলাদেশে নগর সহনশীলতা ও জীবিকা উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করে আসছে। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আজ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। সিডকার সহযোগিতায় এই কর্মসূচি সাউথ-সাউথ কর্পোরেশন আরও জোরদার করবে এবং ২০৩০ এজেন্ডাকে আরো শক্তিশালী করবে। ”
এর আগে, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক প্রকল্পের লক্ষ্যসমূহ তুলে ধরেন। পরে ইউএনডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক যোগেশ প্রাধানাং প্রকল্পের কাঠামো ও কৌশল বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেশনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, পুষ্টি সহায়তা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক জীবিকা সুযোগের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়, যা নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
টিআর/এমজেএফ