বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দেওয়া পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ শুভেচ্ছা জানান।
নতুন বছরে বাঙালির জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে- এমন প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যকে আরও সুসংহত করবে।
‘প্রবাসী বাঙালিরাও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নববর্ষ উদযাপন করেন, যা এই উৎসবের আন্তর্জাতিকতাকে তুলে ধরে। আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যবসা, পার্বণসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বাংলা সনের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষের আবেদন তাই চিরন্তন ও সর্বজনীন। ’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা মানবসভ্যতার প্রতিনিধিত্বশীল সংস্কৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে; যা আজ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এ স্বীকৃতি আমাদের অসাম্প্রদায়িক অবস্থানকে আরও সমুন্নত করবে।
এদিকে পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নতুন বছরের প্রথম দিনে আমরা অতীতের ব্যত্যয় এবং গ্লানি ভুলে জীবনের এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আশায় বুক বাঁধি। দেনাপাওনা চুকিয়ে নতুন করে শুরু হয় জীবনের জয়গান। পহেলা বৈশাখ তাই যুগ যুগ ধরে বাঙালির মননে মানসে শুধু বিনোদনের উৎস নয়, বৈষয়িক বিষয়েরও আধার। ’
বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিগত বছরটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রভূত সাফল্যময়। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পণ্যের ক্রয়বিক্রয়, হালখাতা উৎসব, নতুন পোশাক এবং মিষ্টান্নসহ হরেক রকম খাবারের জমজমাট ব্যবসা; সব মিলিয়ে বাংলা নববর্ষ বিনোদনের পাশাপাশি আজ দেশের অর্থনীতিতে নতুনত্ব এনেছে।
‘বাঙালির এই শাশ্বত সার্বজনীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাংলা নববর্ষ উৎসব ভাতা চালু করা হয়েছে। ’
নববর্ষের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখীসমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
এমএ/