শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এস এম মোর্শেদ হাসান।
এর আগে সকালের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরীয়তপুর জেলা সদরের চিকনদি ইউনিয়নের আটাপাড়া গ্রামের একটি মাজার থেকে ব্যবস্থাপক জোবায়নুর রহমানকে আটক করে র্যাবের একটি দল।
র্যাব সূত্র জানায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রুপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ব্যবস্থাপক জোবায়নুর রহমান এফডিআর করা গ্রাহকের নামে ভুয়া ২ কোটি ৬৯ লাখ ১ হাজার ১ টাকা ঋণ উত্তোলন করে সেই টাকা নিয়ে উধাও হন।
ঘটনাটি তদন্তে রাজশাহী বিভাগীয় একটি তদন্ত টিম সে সময় রুপালী ব্যাংকের ওই শাখায় বিভিন্ন গ্রাহকের হিসাব পর্যবেক্ষণ করেন। তাতে অনেকের গচ্ছিত টাকার হিসেবে গড়মিল দেখতে পান। ওই টিমের প্রধান এম এম জি তোফায়েলের সঙ্গে ছিলেন সুলতান মাহমুদ, শাহীন মাহমুদ, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
এ ঘটনায় বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ব্যবস্থাপক জোবায়নুর রহমান ও মহাস্থান হাটের ইজারাদার আজমল হোসেনকে আসামি করা হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, ঘটনার দিন জোবায়েনুর রহমান প্রতিদিনের মতোই ব্যাংকে এসেছিলেন। তিনি ব্যাংক চলাকালে চা খাওয়ার কথা বলে বের হয়ে যান। এরপর আর ফেরেননি। ওইদিন তিনি ব্যাংকের যাবতীয় চাবি, নথিপত্র, ব্যক্তিগত ব্যাগ রেখে যান। ঘটনাটি জানাজানি হলে বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য। ওই ব্যবস্থাপক এফডিআর করা গ্রাহকদের নামে ভুয়া ঋণ উত্তোলন করে সটকে পড়েন। তবে শেষমেষ র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন অর্থ আত্মসাৎকারী সেই ব্যবস্থাপক।
জোবায়নুর রহমান বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার আগুনিয়াতাইর গ্রামের মনতেজার রহমানের ছেলে। স্ত্রীসহ তিনি শহরের নামাজগড় এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
এমবিএইচ/জেডএস