খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লছনা নামের স্থানে সরেজমিনে দেখা যায়, সাতগাঁও চা বাগান কর্তৃপক্ষ বিশালাকৃতির একটি শিরিষ গাছ কেটে ফেলেছে এবং এই কাটা গাছ রাস্তায় ফেলে রেখে মহাসড়কের যান চলাচলের স্বাভাবিক গতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে গাছ করতে সহায়তা করতে থাকেন।
এই গাছ কাটার জন্য বনবিভাগের কোনো অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে সাতগাঁও চা বাগানের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, গাছটি কাটার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগ আমাদের চিঠি দিয়েছে। তাই আমরা গাছটি কাটছি।
এদিকে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি আমাদের গাছ নয়। এই গাছটি কাটার ব্যাপারে আমরা কাউকে কোনো ধরনের চিঠিপত্র দেইনি।
হাইওয়ে পুলিশ সাতগাঁও ফাড়ির ইনচার্জ নান্নু মন্ডল বলেন, এই বিশালাকৃতি গাছটি কাটা এবং গাছটি কেটে শত শত যানবাহনের প্রতিবদ্ধতা সৃষ্টি করা দুটোই অপরাধ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনবিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
বিবিবি/এএ