বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তানি কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসীর অবস্থান আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি ২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক পাচারসহ সীমান্তের নানা সমস্যা নিরসনে বিজিবি ও বিজিপি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাত ও পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদক পাচার রোধে উভয়পক্ষ যাতে এক ও অভিন্নভাবে কাজ করে যেতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
সকার ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে টেকনাফ বন্দরস্থ মালঞ্চ রেস্ট হাউজে উভয় পক্ষের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে দশ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী। মিয়ানমারের পক্ষে এগার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মংডুস্থ ২ নং বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ অধিনায়ক লে. কর্নেল লিন থত মিথ।
বিজিরি’র সূত্রে জানা যায়, এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে নাফনদীতে উভয় পক্ষের যৌথ টহল জোরদার, নতুন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের পরিচিতি পর্ব ছাড়াও দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আছাদুদ-জামান চৌধুরী বলেন, ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকটি সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক পাচার সহ সীমান্তের নানা সমস্যা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। আর সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদক পাচার রোধে উভয় অভিন্নভাবে কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
টিটি/এসএইচ