বুধবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাধন চাকমা খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মধ্য আদম এলাকার রবিচন্দ্র চাকমার ছেলে।
স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জেএসএস সংস্কারের বরাতে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সাধন চাকমা মহালছড়ির মগাছড়িতে তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এলে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ইউপিডিএফের ৪/৫ জন সশস্ত্র কর্মী তাকে সেখান থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার কেঙ্গালছড়ি ব্রিজের উপর গুলি করে হত্যা করে।
অপরদিকে একইদিন দুপুরে ওই উপজেলার সাবেক্ষং ইউনিয়নের বেতছড়িস্থ ফরেস্ট অফিস এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ’র নেতা জনি তঞ্চঙ্গ্যাকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে।
এদিন খাগড়াছড়ি জেলা সদর এলাকায় কালোময় চাকমা নামে এক জেএসএস সংস্কার কর্মীকে অপহরণ করা হলেও রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জেএসএস নেতা সুধাকর ত্রিপুরা বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, দুপুরে নিহত জনি তঞ্চঙ্গ্যার মরদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসায় অন্যসব ঘটনা সম্পর্কে অবগত হতে পারিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
জেডএস