রোববার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে ‘দুদক’র বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৭’ হস্তান্তর শেষে বঙ্গভবনের বাইরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
সম্প্রতি বিএনপির আট নেতা ও আওয়ামী লীগের এক হুইপসহ চার সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত সিদ্ধান্তের পর দুদক নিয়ে রাজনীতিকদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের জবাবে ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, আমি সব সময় বলেছি, সমালোচনা আমরা স্বাগতম জানাবো।
তিনি বলেন, আমরা যেনো-তেনো মামলা করতে চাই না। যেনো-তেনো মামলায় হয়রানির আশঙ্কা থাকে। কেবল মেরিট ধরেই মামলা করা হবে। তবে ঘুষখোরদের আমি শেষবারের মতো সতর্ক করতে চাই। তাদের গ্রেফতার আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো আমরা চাই সবাই আইনকে সম্মান করুক, শ্রদ্ধা করুক। আইন মেনে চলুক।
মানিলন্ডারিং সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেক সংস্থাই এটা নিয়ে কাজ করছে। তবে আমরা এ বিষয়ে অচিরেই বড় ধরনের কাজ শুরু করবো।
শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া সুপারিশ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা একটি বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চাই। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কিছু করতে পারার মতো শিক্ষা নিয়ে বড় হোক। এজন্য কোয়ালিটি শিক্ষক তৈরি করা দরকার। তাদের বেতন ও সুবিধা বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে প্রশিক্ষণের মান। এজন্য প্রাইমারি শিক্ষকের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক প্রথম শ্রেণি ও অন্যান্য শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণি করে পিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছি। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার কথাও বলা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, চট্টগ্রাম বন্দর, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস, আয়কর বিভাগ, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ অর্থাৎ নয়টি খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধ, দীর্ঘ সূত্রিকা লাঘব, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরো নিশ্চিত, সর্বোপরি উত্তম চর্চার বিকাশে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদনের মাধ্যমে সুপারিশমালা পৌঁছে দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
আরএম/ওএইচ/