রোববার (০৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা সদরের ওছখালীর রেডসি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার বাংলানিউজকে জানান, জহিরুল ইসলাম নাহিদ র্যাবের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে শনিবার সকালে ওছখালীর রেডসি আবাসিক হোটেলে ওঠেন।
এরপর পুলিশ তার গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকে। পরে ভুয়া র্যাব নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার সকালে তাকে রেডসি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে নাহিদ আহমেদ ঠিকানা সারিয়াকান্দি, বগুড়া বলে স্বীকার করলেও তার সঙ্গে থাকা ভোটার আইডিতে তার পরিচয় পাওয়া যায় জহিরুল ইসলাম, বাবা সাইদুল ইসলাম মাস্টার, বালিগ্রাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড নেত্রকোনা।
আইডির সূত্র ধরে তার বাবার সঙ্গে কথা বলে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং পেশাদারী প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে বহু নারীর সঙ্গে কৌশলে সম্পর্ক করে একাধিক বিয়ে করেছেন বলেও জানিয়েছেন। হাতিয়াতে প্রতারণার মাধ্যমে এক নারীকে বিয়ে করার চক্রান্ত করছিলেন। তার বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় ভুয়া র্যাব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
আরএ