স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতেই স্পিকার স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নীত হওয়ার এই ঐতিহাসিক অর্জনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে অনন্য সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
এর আগে বিকেল ৪টায় স্পিকারের সভাপতিত্বে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া কমিটির সদস্য বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, রাশেদ খান মেনন, আ স ম ফিরোজ, মইন উদ্দীন খান বাদল এবং আনিসুল হক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের ২০তম অধিবেশন আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। তবে প্রয়োজনে এ সময় স্পিকার পরিবর্তন করতে পারবেন। এই অধিবেশনে পুরনো ১৩টি এবং নতুন ৩টি বিল উত্থাপন ও পাস হবে।
বৈঠকের শুরুতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় কমিটির পক্ষ থেকে স্পিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাই এই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। বিশেষ করে এ অর্জন বাংলাদেশের জনগণের। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পারে এবং কেউ বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
বৈঠকে জানানো হয়, এবারের অধিবেশনে পাসের অপেক্ষায় ১টি, কমিটিতে পরীক্ষাধীন ১১টি ও উত্থাপনের অপেক্ষায় ৪টিসহ মোট ১৬টি বিল এবং অনিষ্পন্ন ৯টি বেসরকারি বিল রয়েছে। এ অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য কোনো বেসরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৬৩টি ও সাধারণ প্রশ্ন ১১৬৪টিসহ মোট ১২২৭টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ১০৬টি ও মনোযোগ আকষর্ণের ৩৬টি নোটিশ পাওয়া গেছে।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯তম অধিবেশন শেষ হয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় এক অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন বসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এসএম/এসকে/জেডএস