রাশেদ ২০১৭ সালের ০৩ নভেম্বর ত্রিশাল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলার পলাতক আসামি। ফেনীর সোনাগাজী থানার দারুল উলামা মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছিলো।
রোববার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিও) লে. কর্নেল মো. শরীফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদ জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
শরীফুল ইসলাম জানান, রাশেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গি গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের পোস্ট প্রকাশ করতো। এরপর তার সঙ্গে নব্য জেএমবির আরেক সদস্য মো. ইসমাইল হোসেনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ইসমাইলের মাধ্যমেই রাশেদের পরিচয় ঘটে আবু শাম নামক একই গ্রুপের আরেক সদস্যের সঙ্গে।
তিনি জানান, এ তিনজন স্বল্প সময়ের মধ্যে জিহাদি প্ররোচনায় এক অপরকে উদ্বুদ্ধ করে তোলে এবং নাশকতার উদ্দেশে ইসলামের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকজনকে দলে টানতে শুরু করে। এ নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে ইতোমধ্যে বগুড়া থেকে ইসমাইল ও ত্রিশাল থেকে আবু শামকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪। এতে করে কার্যক্রম শিথিল করে আত্মগোপনে যায় রাশেদ।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (০৭ এপ্রিল) রাতে র্যাব-১৪’র একটি দল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. হাফিজুল ইসলাম বাবু০র নেতৃত্বে ফেনী শহর থেকে রাশেদ উল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে ত্রিশাল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমএএএম/ওএইচ/