রোববার (৮ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার সাতুরিয়া গ্রাম থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফিরোজ হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
লিমনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তাদের পৈত্রিক জমিতে ভবন নির্মাণকাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষ আব্দুর হাই তার লোকজন নিয়ে বাধা দেয়।
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তারা নিজেদের জমিতে আধাপাকা একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সেই থেকেই প্রতিপক্ষের লোকজন কাজে বাধা দিয়ে আসছিল।
শনিবার দিনগত রাতে তারা (প্রতিপক্ষরা) দেওয়াল ভেঙে পিলারের রড কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বসতঘরের পাশের রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন বলেন, খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ গিয়ে একজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম রাজাপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে রাজাপুরের সাতুরিয়ায় বাড়ির কাছে মাঠে গরু আনতে গেলে
কলেজছাত্র লিমনকে র্যাব ধরে নিয়ে যায়। র্যাবের গুলিতে লিমন পা হারান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমএস/এএটি