রোববার (০৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ৪ এপ্রিল স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. জুলিয়া মঈন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রণালয় কর্তৃক নন্দীগ্রাম থানা, বগুড়া সদর ও শাজাহাপুর থানায় দায়েরকৃত মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১১ দ্বারা সংশোধিত এর ধারা ১৩খ (১) অনুসারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এর আগেও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মন্ডলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিলো। পরে উচ্চ আদালতের আদেশে তিনি চেয়ারম্যানের পদ ফিরে পান। এছাড়া তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেন।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে তৎকালিন সময়ে উপজেলা পরিষদে হামলা চালিয়ে গানপাউডার ঢেলে সরকারি বিভিন্ন দফতর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। থানায় হামলা চালানো হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় তৎকালিন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহর বাড়ি।
এসব ঘটনায় নূরুল ইসলাম মন্ডলকে প্রধান আসামি করে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সব মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রয়েছে।
তবে মামলাগুলোয় তিনি জামিনে রয়েছেন কী না বা তার বিরুদ্ধে কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে কী না তা জানাতে পারেননি ওসি নাছির উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমবিএইচ/ওএইচ/