ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

রোডমার্চের দ্বিতীয়দিনে বগুড়ায় বাসদের সমাবেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৫৯, এপ্রিল ৮, ২০১৮
রোডমার্চের দ্বিতীয়দিনে বগুড়ায় বাসদের সমাবেশ রোডমার্চের দ্বিতীয়দিনে বগুড়ায় বাসদের সমাবেশ-ছবি-কাওছার উল্লাহ আরিফ 

বগুড়া: ভারতের পানি প্রত্যাহার এবং অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) রোডমার্চের দ্বিতীয়দিনে বগুড়ায় দলটির উদ্যোগে সমাবেশ করা হয়েছে।

রোববার (৮ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে শহরের সাতমাথায় বাসদের বগুড়া জেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
 
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন, বগুড়া জেলার সদস্য সচিব সাইফুজ্জামান টুটুল।

সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুল হক দুলু, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্যামল ভট্টাচার্য্য, সিপিবি বগুড়া জেলার সভাপতি কমরেড জিন্নাতুল ইসলাম প্রমুখ।
 
বক্তারা বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশ আজ মরুকরণের হুমকির মুখে। উজানে একতরফা পানি সরিয়ে নেওয়ায় ভারতীয় আগ্রাসী তৎপরতা ও দখল-দূষণে নদী কমে ২৩০-এ নেমে এসেছে এবং নদীর চেহারা খালে পরিণত হয়েছে।
 
ভারত থেকে আগত ৫৪টি নদীতে ভারত এক তরফা বাঁধ দিয়ে আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে পানি প্রত্যাহার করছে। ফারাক্কা বাঁধের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ার কথা সবার জানা। সুরমা-কুশিয়ারা তথা মেঘনা নদীর উজানে বরাক নদীর টিপাইমুখে বাঁধ দিয়ে ভারত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে কার্যত সুরমা-কুশিয়ারা তথা মেঘনা নদীকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আন্তঃনদী সংযোগের খড়গ মাথায় ঝুলছে।
 
ভারতের এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নদীমাতৃক বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে।
 
তাই ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার আর সব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
 
পরে রোডমার্চ যাত্রা করে বিভিন্ন স্থানে পথসভা শেষে নেতাকর্মীরা রংপুরে রাত্রীযাপন করবেন। তৃতীয় দিন সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রংপুর প্রেসক্লাব থেকে মেডিকেল মোড়, পাগলাপীর, বড়ভিটা, জলাঢাকা, ভাদরুদরগা, ডিমলা, শুটিবাড়ী, তিস্তা ব্যারেজ গিয়ে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী সমাবেশ থেকে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমবিএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।