শনিবার রাতে (৭ এপ্রিল) লালমনিরহাট জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঈদগাহপাড়া এলাকার ফিয়ান ছাত্রীনিবাসে ওই ছাত্রীর রুমে তল্লাশি চালায়।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার রশিদুল হক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে ফিয়ান ছাত্রীনিবাসের মালিক আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, ওই মেসে ২০/২২ জন থাকতে পারে। সাদিয়া আফরোজ নীনা বছর খানেক আগে মেসে ওঠেন।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগে সাদিয়া মেসের ছিট বাতিল করবেন বলে অগ্রিম জানিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার তার বড় আপু পরিচয়ে একজন এসেছিলেন এবং তার আপুর বিয়ের কথা বলে সাদিয়া বাড়ি চলে যান।
মেসের সহপাঠীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্লাস-পরীক্ষা বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া সাদিয়া তেমন বাইরে যেতেন না। কারও সাথে তেমন কথা বা মেলামেশাও করতেন না। এছাড়া শিক্ষার্থী হিসেবেও তিনি ছিলেন মেধাবী। তার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল গোল্ডেন ‘এ’ প্লাস ছিল বলেও জানা যায়।
এর আগে গত বুধবার (৪ এপ্রিল) লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্দা উপজেলার ধুবনি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির নারী শাখার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাদিয়াকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ।
পরে বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশি কড়া নিরাপত্তায় তাকে লালমনিরহাটে পাঠানো হয়। সাদিয়ার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে (১৫(৩)/১৬(২) ধারায়) মামলা করা হয়েছে।
তল্লাশির বিষয়ে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার রশিদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার সাদিয়ার রুমে তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কিছু পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমজেএফ