শনিবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ধানকোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক পুলিশের সোর্সের নাম সুমন হলেও তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে ধানকোড়া বাজার এলাকায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রা এলাকার দাউদ খানের ছেলে সুমন খান গোয়ারিয়া এলাকার শাজাহানের ছেলে শাহ আলমের পকেটে ইয়াবা রয়েছে বলে তার শরীর তল্লাশি করতে চান। এতে শাহ আলম নিজেই বিভিন্ন পকেটে হাত দিয়ে কিছু নেই বলে দেখান।
কিন্তু এ সময় সুমন শাহ আলমের পকেটে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সুমনসহ দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে স্থানীয়রা। অসংলগ্ন কথা-বার্তায় তাদের করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বসিয়ে রাখা হয়।
সিআইডি বিভাগের সহকারী উপ-পরিদর্শক বাবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিনি ও তার সহকর্মী মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। এ সময় সুমন ফোন করে তাদের জানান, সাটুরিয়ার গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে এলে পাঁচ পিচ ইয়াবাসহ বিশা নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা যাবে।
‘এ খবর পেয়ে আমরা গোলড়া যাই। সেখানে বিশাকে না পেয়ে ধামরাইয়ের বাবরবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালাই। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে সুমনের দেওয়া তথ্যমতে নয়াডিঙ্গী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শাহ আলম নামে এক যুবকের দেহ তল্লাশি করা হয়। তার কাছেও ইয়াবা পাওয়া যায়নি। ’
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, একজনকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় সুমনকে আটক করা হয়েছে।
সিআইডি পুলিশের ওই দুই সদস্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়। ’
এ বিষয়ে বারবার কল দিলেও মানিকগঞ্জ সিআইডি বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার আজিজুল হক তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এমএ/