শনিবার (০৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (০৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সাতারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের আক্কাস মৃধার ছেলে রানা মৃধার সঙ্গে পাশের সাতারিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর খোন্দকারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মাফুজা খন্দকার পিপাসার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে প্রায় দুই বছর আগে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে তাদের বিয়ে হয়। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হলেও বিষয়টি পিপাসার মা অর্থাৎ রানার শাশুড়ি মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো।
এ দম্পতির এক বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পিপাসা বর্তমানে স্নাতক শ্রেণিতে পড়লেও স্বামী রানা লেখাপড়া করেন না। তার আয় রোজগারও কম। শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে এ নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকতো বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে রানা শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গেলে আবারো তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবার ভোরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন রানা খুব অসুস্থ বলে ফোন দিয়ে জানায়। খবর পেয়ে রানার পরিবারের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তাকে ঘরের মধ্যে দেখতে পায়। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাতের কোনো এক সময়ে রানা গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পিপাসার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
নিহত রানার মামি সোমা বেগম বলেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজন রানাকে মেরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঘরের মেঝে রেখে দেন। সেখান থেকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) ইমতিয়াজ আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় রানা নামক এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
আরবি/