দেশে ফিরে ‘অর্থ কামানোর’ পথ খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি পিস্তল কেনেন।
কুমিল্লা সরকারি কলেজের ছাত্র সাগর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সোহাগ উদ্দিন রানার বিষয়ে এ তথ্য দিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন। শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাতে রানাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার দিনগত রাতে ঢাকার কমলাপুর থেকে কুমিল্লার গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের সমন্বয় গঠিত টিম রানাকে গ্রেফতার করে। রানা কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাতাবাড়িয়া এলাকার সেলিম জাহাঙ্গীরের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রথমে মনে হলেও প্রকৃত কারণ তা নয়। এর পেছনে ছিল অস্ত্রের মুখে অর্থ কামাইয়ের পরিকল্পনা।
রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, আসামি রানা স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। সেখানে তিনি দালালের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার জন্য দেশ থেকে ছয় লাখ টাকা নেন। কিন্তু প্রতারণার শিকার হয়ে গোপনে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এ খবর তার পরিবারও জানতো না। পরে তিনি একটি পিস্তল কিনে অস্ত্রের মুখে মানুষদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা চালান।
কারও কাছে রানা জানতে পারেন রেসকোর্স এলাকার মফিজ উদ্দিন সড়কের বিএইচ ভূঁইয়া হাউজের তিনতলা ভবনের একতলার মেসে বসবাসরত সাগর ও তার রুমমেট সজীব সাহার কাছে অর্থকড়ি রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সে প্রত্যাশায় গত ৪ এপ্রিল দিনগত রাতে রানা তার সহযোগী নাসির উদ্দিনকে নিয়ে সাগর ও সজীব সাহার মেসে যায়। সেখানে তাদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তারা সাগরকে গলাকেটে হত্যা ও সজীবকে গুলি করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় সাগরের বাবা শংকর দত্ত বাদী হয়ে ওইদিনই হত্যা মামলা করেন।
আলমগীর হোসেন জানান, রানাকে গ্রেফতারের পর নাসিরকেও পাকড়াও করার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে রানাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এএটি