ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

বরগুনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ৩ শিক্ষককে অব্যাহতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:২১, এপ্রিল ৭, ২০১৮
বরগুনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ৩ শিক্ষককে অব্যাহতি

বরগুনা: বরগুনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে তিন শিক্ষককে চলমান পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সকালে যথা নিয়মে পরীক্ষার কক্ষে ঢুকে মেঝেতে আগের দিনের উত্তরপত্র পড়ে থাকতে দেখে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা হতবাক হয়ে পড়েন।

আর কান্নায় ভেঙে পড়ে মালা নামের সংশ্লিষ্ট উত্তরপত্রের শিক্ষার্থী।

ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আমতলী সরকারি কলেজ কেন্দ্রে। এ ঘটনায় ওই কক্ষের দায়িত্ব পালনকারী তিন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সরোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পাই।

এর আগে বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী তিন শিক্ষক তাদের দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা করেছে। অবহেলার দায়ে তাদের চলমান পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রটি ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিবকে বোর্ডে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাতে পরীক্ষার্থীর কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।

ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব বকুল নেছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তিন শিক্ষক হলেন- আমতলী সরকারি কলেজের প্রভাষক সাইফুর রহমান, টিয়াখালী কলেজের সাইফুল ইসলাম ও একই কলেজের তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, ভুলবসত এটি হয়েছে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রটি আমি নিজে গিয়ে জমা দিয়ে আসবো।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চলমান এইচএসসি পরীক্ষার আমতলী সরকারি কলেজ কেন্দ্রের ১০২ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি প্রথমপত্রের উত্তরপত্র জমা দিয়ে বাড়ি চলে যায়।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় যথা নিয়মে তারা ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কক্ষে প্রবেশ করে দেখে মেঝেতে একটি উত্তরপত্র পড়ে রয়েছে। এ ঘটনা দেখে শিক্ষার্থীরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। পরে তারা উত্তরপত্রের রোল নম্বর মিলিয়ে দেখে এটি ইউনুস আলী খান কলেজের মালা নামের পরীক্ষার্থীর।

এসময় ওই পরীক্ষার্থী নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিল। সে তার উত্তরপত্র এভাবে পরে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরে উত্তরপত্রটি কেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. ইউসুব হল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেন।

এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অপরিচিত লোকের সঙ্গে কথা বলবেন না বলে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।