ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

প্রাণঘাতী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ২৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:১৩, এপ্রিল ৭, ২০১৮
প্রাণঘাতী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ২৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশু ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা

ঢাকা: অজ্ঞতা, অপরিকল্পিত থাকা-খাওয়ার পরিবেশ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে বৃদ্ধদের পাশাপাশি প্রাণঘাতী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশু।

শনিবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়।  

সভার আয়োজন করে পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (পিএইচএফবিডি)।

এতে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক কুমার সাহা গবেষণা প্রতিবেদনটি পাঠ করেন।

এতে বলা হয়, বর্তমানে কক্সবাজারের কুতুপালং, লেদা ও বালুখালিতে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ জন রোহিঙ্গা বসবাস করছে। মিয়ানমার থেকে আসা এই রোহিঙ্গারা ডায়রিয়া, ঠাণ্ডা-কাশি, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ, আমাশায়, পেট ব্যাথা, নিউমোনিয়াসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত নভেম্বরে ‘পুষ্টি সপ্তাহ’ চলমান অবস্থায় দেখা যায় প্রায় ২৫ হাজার শিশু প্রাণঘাতী অপুষ্টিতে ভুগছে। যা গত বছরের মে মাসের জরিপের তুলনায় দ্বিগুণ।

পিএইচএফবিডি’র প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এম মোজাহেরুল হক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. ফাতেমা আশরাফ।  

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ডিপিএম ডা. এম ইসলাম বুলবুল, সংগঠনের ভাইস চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. শারমিন ইয়াসমিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার পানি, ১২ হাজার ২শ মেট্রিকটন খাদ্যের পাশাপাশি ১ লাখ ৪৪ হাজার সিঙ্গেল মায়েদের জন্য সুরক্ষা কর্মসূচি দেওয়া দরকার।

এছাড়াও প্রায় ৫৩ হাজার ২৬৬ জন গর্ভবতী নারীর জন্য জরুরি প্রসূতি সেবা প্রদানের পাশাপাশি ৪৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং ১৪৪টি স্বাস্থ্য পোস্টের ব্যবস্থা জরুরি।

প্রতিবদেন আরো বলা হয়, বর্তামানে শূন্য থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৫ হাজার ৯৩ জন রোহিঙ্গা মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছেন। মাঝারি অপুষ্টিতে আক্রান্ত ১০৩ হাজার ৭৭৩ জন শিশু। তাদের পাশাপাশি ১২ হাজার ৮২৮ জন গর্ভবর্তী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য প্রয়োজন ১০০ পুষ্টি কেন্দ্রের।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল০৭, ২০১৮
এমএফআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।