আর এসব কারণে হুমকির মুখে পড়েছে মৎস্যবীজ উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
মাছের চাহিদা পূরণ ও চাষে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী এলাকায় ‘মান্দারী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’র কার্যক্রম শুরু হয়।
গত দেড় বছর ধরে উৎপাদন কার্যক্রম সচল থাকলেও নানা সংকটে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে মৎস্যচাষিদের প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত হলরুমে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র না থাকায় দীর্ঘদিন থরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের বন্যায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় খামারটি। বন্যার পানিতে হ্যাচারিতে মাছের রেণু উৎপাদনে স্থাপিত নলকূপটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে একটি শ্যালো মেশিন স্থাপন করা হয়। সেই মেশিন দিয়ে তোলা পুকুরের পানি দিয়ে হ্যাচারিতে রেণু উৎপাদন করে আসছে খামারটি। ফলে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কেজি মৎস্যবীজ নষ্ট হচ্ছে। এসব বীজ নষ্ট না হলে আরো ৫০ লাখ মাছের পোনা বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হতো বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় মৎস্য চাষিরা জানান, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন অনেক কম। যে কারণে আগ্রহীরা এসেও পোনা নিতে পারেন না। এছাড়াও প্রশিক্ষণের অভাবে তারা যথাযথভাবে মাছ চাষ করতে পারছেন না।
মান্দারী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (মৎস্য) আনোয়ার কামাল বলেন, গত মৌসুমে (এপ্রিল, মে ও জুন) খামারে মাত্র ১২ কেজি মৎস্যবীজ উৎপাদিত হয়েছে। অথচ এ খামার থেকে প্রতি মৌসুমে ৪০ থেকে ৫০ কেজি মৎস্যবীজ উৎপাদন করা সম্ভব। এখানে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করলে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্যাহ বলেন, মান্দারী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের সংকট নিরসনে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এসআর/জেডএস