শুক্রবার (০৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় বাবুল এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
হবিগঞ্জ আদালত পরিদর্শক ওহিদুর রহমান বাংলানিউজকে এ জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিং করে সব জানাবেন।
৩১ মার্চ (শনিবার) সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে বাবুলকে গ্রেফতার করেন সিলেট র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান। পরে ১ এপ্রিল আদালত রুবলের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে স্কুলছাত্রী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুলের শ্বশুর আব্দুল কাদির (৫০), খালা জহুর চাঁন বিবি (৬০) ও খালাত বোন ঝুমা আক্তারকে (২০) জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
এরও আগে ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন হাওর থেকে স্কুলছাত্রী বিউটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় ওইদিনই বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে ২১ মার্চ বাবুলের মা কলম চাঁন ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ইসমাইলকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে শায়েস্তাগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনকে হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনে অপসারণ করেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
টিএ