সোমবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রোহিঙ্গা বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট: টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে’ শীর্ষক এ সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এর বাংলাদেশের পরিচালক সুদীপ্ত মুখার্জি। বক্তব্য দেন-মিয়ানমার ইস্যুতে কানাডা সরকারের নিযুক্ত বিশেষ দূত রবার্ট কেইথ। ‘রোহিঙ্গা সমস্যা চিহ্নিতকরণ: পাঁচ বাধা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাকশন এইডের চেয়ারম্যান মানজুর হাসান।
শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ইস্যু নয়। এটির সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায় সম্পৃক্ত। এটির টেকসই সমাধান না হলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে এর সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের নিরাপত্তা জোন করে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে কফি আনানের তৈরি প্রতিবেদন, জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উত্থাপিত পাঁচটি প্রস্তাবনা, চীন কর্তৃক প্রস্তাবিত তিনটি ধাপের সমাধান, মালয়েশিয়ায় প্রস্তাবিত পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল ফাইন্ডিংস অ্যান্ড রিকমেন্ডেশন এবং ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট রেজু্ল্যুশন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পর্যালোচনাপত্র ও আলোচনার উপর ভিত্তি করে ‘ঢাকা ঘোষণা’ দেওয়া হবে। যেখানে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সুপারিশ তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এসকেবি/আরআর