দাম্পত্য কলহের জের ধরে রোববার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার 'মা' ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম নামে একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের তুলট গ্রামের শাহা মিয়ার ডিগ্রি পাস মেয়ে শাহনাজ বেগম সাহেরার (৩৫) সঙ্গে তিন বছর আগে একই উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের সুলতান সরকারের ছেলে রং-মিস্ত্রি সাজু মিয়ার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর কিছুদিন দাম্পত্য জীবন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে কাটলেও পরে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পারিবারিক স্বচ্ছলতা ও সাহেরার নৈতিক চরিত্রসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দাম্পত্য জীবনে নানা অশান্তির সৃষ্টি হয়।
এরই মধ্যে সাহেরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সময়ের ব্যবধানে সাহেরার সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসে। রোববার বিকেলে প্রসব বেদনা শুরু হলে সাজুর পরিবার সন্ধ্যার দিকে সাহেরাকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এসময় সাহেরা অচেতন থাকায় তার ভাবী কোহিনূর বেগম সদ্য প্রসূত শিশুটিকে দেখভাল করতে থাকেন।
এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে নবজাতকটিকে নিয়ে ক্লিনিকের মেঝেতে সজোরে আছাড় দেন সাজু। সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু ঘটে।
এ সময় ক্লিনিকে থাকা লোকজন সাজুকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে নিহত নবজাতকের মরদেহ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, নবজাতককে হত্যার অপরাধে সাজুকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
আরএ