সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা না হলেও কিছুদিন আগে রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলা, মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে নগরীর মিরাবাজার খাঁরপাড়া ১৫/জে বাসার নিচতলা থেকে রোকেয়া বেগম (৪০) ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রোকনের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মেয়ে রাইসাকে (৫) জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহত রোকেয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর কলকলি গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী। স্বামী আরেক বিয়ে করায় বনিবনা না হওয়াতে বছরখানেক ধরে ওই বাসায় দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন রোকেয়া।
গত শুক্রবার (৩০ মার্চ) থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে খোঁজ নিতে এসে তার ভাই জাকির হোসেন বাসায় তাদের মরদেহ দেখতে পান। এরপর বাসার মালিক ও স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে পুলিশকে জানানো হয়। রোকেয়া ও তার ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
পুলিশের ধারণা ৫ বছরের রাইসাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মৃত ভেবে ফেলে যায় হত্যাকারীরা। পরবর্তীতে রাইসা জ্ঞান ফিরে পায়। এ ঘটনার পর থেকে বাসার কাজের মেয়ে তানিয়া পলাতক রয়েছেন।
ওসি জানান, তানিয়ার সঙ্গে ঝামেলার জেরে কিছুদিন আগে শিপলু, তানিম ও সুমনের সঙ্গে ঝামেলা হয়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মুরব্বিরা সমঝোতা করলেও ও এ ঘটনার জের থেকে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। বিষয়টি সামনে রেখে তদন্ত চালানো হচ্ছে। যে কারণে মামলায় তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
তবে মা-ছেলের হত্যার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও জানান কোতোয়ালি থানার ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এনইউ/আরআর