শনিবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের পঙ্গু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহীন শেখ মঘিয়া ইউনিয়নের সহবতকাঠি গ্রামের আব্দুল গফফার শেখের ছেলে।
নিহতের চাচা আব্দুল হালিম শেখ বাংলানিউজকে বলেন, শাহীন রাত ৯টার দিকে স্থানীয় বড় আন্ধারমানিক গ্রামের পঙ্গু মার্কেটে কাজ সেরে তার জমির দিনমজুর সাখাওয়াতকে সঙ্গে নিয়ে ভ্যানরিশায় বাড়ি ফিরছিলেন। সম্মানকাঠি গ্রামের কেজি স্কুলের সামনে পৌঁছলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা শাহীনের ভ্যানের গতিরোধ করে তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। এসময় ভ্যানচালক ফিরোজ ও দিনমজুর সাখাওয়াত ভয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তরমুজ চাষী সমিতির সভাপতি হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজনের তার সঙ্গে বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড কিনা তা তদন্ত করে দেখতে পুলিশের কাছে দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুশফিকার শামস্ মেনন বাংলানিউজকে বলেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে শাহীন শেখকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। শাহীনের দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার মাথাসহ শরীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল কবির বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কৃষক শাহীন শেখকে কারা কী কারণে কুপিয়ে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
জিপি