ফলে পরীক্ষার দু’দিন আগেও টাকার অভাবে অনেক শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র নিতে পারেনি। এতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে কলেজে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার তারা (শিক্ষার্থীরা) প্রবেশপত্র নিতে এলে কোচিং ফি, ক্লাস প্রতি অনুপস্থিত ফি ও প্রবেশপত্র ফি বাবদ এ টাকা দাবি করছে কলেজকর্তৃপক্ষ। কলেজেকর্তৃপক্ষ কারো কাছ থেকে বাড়তি এক হাজার আবার কারো কাছ থেকে তার বেশি টাকা আদায় করছেন। এ টাকা না দিলে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হচ্ছেনা।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, কলেজ থেকে এ বছর ২৩১ জন এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। যার মধ্যে শুধু একজন যদি গেল বছরে ৫০টি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। তবে তাকে ক্লাস প্রতি ১শ’ টাকা করে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আবার কেন্দ্র ফি বাবদও টাকা চাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ নিজাম হায়দারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কেটে দেন।
কলেজের গর্ভানিং বোর্ডের সদস্য আসাদুজ্জামান শহীদ খান বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিয়মিত কলেজে উপস্থিত করার জন্যই জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা কলেজে আসেনি তাদেরই কেবল জরিমানা করা হয়েছে। যদি অন্য কোনোভাবে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়ে থাকে তবে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে তা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
এমএস/এএটি