শনিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, যুগ যুগ ধরে কওমি মাদরাসাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলে আসছে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি স্বীকৃতি বাস্তবায়নের পথে ঘাপটি মেরে থাকা চিহ্নিত কিছু লোক নেপথ্যে স্বীকৃতি বাস্তবায়নে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। বেফাকুল মাদারাসিল আরাবিয়া অন্যান্য পাঁচ বোর্ডের সঙ্গে বিমাতাসূলভ আচারণ করছে। তাদের আচরণে প্রকাশ পায় বেফাকই একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল বোর্ড। অন্য পাঁচ বোর্ড সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন। তারা মূলত স্বীকৃতির সুফল লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের ভোগ করতে দিতে চান না। নিজেদের মতো করে সদস্য বাড়িয়ে অন্য বোর্ডের কাউকেই পাত্তা দিতে চান না। অথচ সরকারের কাছে প্রত্যেক বোর্ডই একটি জাতীয় বোর্ড হিসেবে বিবেচিত।
ইয়াহইয়া আরো বলেন, বেফাকের কয়েকটি বিমাতাসুলভ আচরণের নমুনা হলো-বেফাকুল মাদারাসিল আরাবিয়ার সভাপতি এবং সহ-সভাপতিকে পদাধিকার বলে হায়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যান নিয়োগের বিধান। কোনো রেজুলেশন পাস করার ক্ষেত্রে হায়াতুল উলইয়ার সদস্য ছয় বোর্ডের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে রেজুলেশন পাস করিয়ে নেওয়া।
তিনি কয়েকটি দাবি তুলে ধরে বলেন, কওমি মাদ্রাসার যে ছয় বোর্ডকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক বোর্ডকে সমান মর্যাদা দিতে হবে। হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান পদে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়নের শর্ত আরোপ করতে হবে। বেফাক ছাড়া অন্যান্য বোর্ড থেকে অন্তত একজনকে কো-চেয়ারম্যান নিতে হবে। কোরামপূরণে অন্যান্য বোর্ডের সদস্যদের আবশ্যকীয় হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সদস্য মাওলানা আব্দুল আলীম ফরিদী, মাওলানা সদরুদ্দীন মাখনুন, মাওলানা মাসউদুল কাদির, মাওলানা জে এইচ এম ইউনুছ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘন্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ