এর মধ্যে, মহাসড়কের কুমিল্লার অংশের দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে শহীদনগর পর্যন্ত যানজট রয়েছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। এরফলে শত শত যানবাহন দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এবং মেঘনা-গোমতি সেতুতে আটকা পড়েছে।
শুক্রবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে কুমিল্লার অংশে হালকা যানজট ছিলো। সন্ধ্যার পর তা তীব্র হয়। শনিবার (৩১ মার্চ) ভোর থেকে কুমিল্লার অংশেও যানজট আরো বৃদ্ধি পায়।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় চলমান সড়ক সংস্কার কাজ, দাউদকান্দি গোমতি ও মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতি, মালবাহী ট্রাক-লরি থেকে টোল আদায়ের সময় অতিরিক্ত ওজনের নামে চাঁদা আদায়, এসব পরিবহনের চালক-হেলপারের সঙ্গে টোল কর্তৃপক্ষের কথা কাটাকাটির ফলেই মহাসড়কজুড়ে এ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ যানজট প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার নিয়মিত হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত শাফিন জোবায়ের। তিনি বলেন, ১৪ ঘণ্টা পর দুপুর ২টায় তিনি ঢাকা পৌঁছেছেন। ভবেরচর, মদনপুর এলাকায় ছিলেন প্রায় ১০ ঘণ্টা।
ওই দিন সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে শিক্ষক আব্দুর বাশার কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত যানজটে আছেন ভবেরচর এলাকায়। তিনি বলেন, এক মিনিট গাড়ি একটু সামনে চললে পরে আধাঘণ্টা এক জায়গায় থাকে। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে অসহ্য লাগছে। যানজটের কারণে মহাসড়কের ফোরলেনের সুবিধা এখন কেউ পাচ্ছে না।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার রাত থেকে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মদনপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ভবেরচর এলাকায় যানজটের প্রভাব কুমিল্লার অংশে পড়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
এনটি