ঢাকা, রবিবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

অগ্নিকাণ্ডে নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক এক্সপো ৫ এপ্রিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৪৬, মার্চ ৩১, ২০১৮
অগ্নিকাণ্ডে নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক এক্সপো ৫ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান।

ঢাকা: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিরাপত্তার উপায়, সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির বিশাল সমাহার নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে পঞ্চম ‘আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০১৮'। 

৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এক্সপো রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হবে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত।  

শনিবার (৩১ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে অগ্নিনিরাপত্তা ও সিকিউরিটি খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএসএসএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সার্বিক সহযোগিতায় এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) ও ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশন (এনএফপিএ) এর সহযোগিতায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক এক্সপোতে ৬০টি স্টল থাকবে।

এছাড়াও এক্সপোতে ৩০টি দেশীয় অগ্নিনিরাপত্তা ও সিকিউরিটির খ্যাতিমান ব্যবসায়িক  প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় এক্সপোর উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  

সংবাদ সম্মেলনে ইএসএসএবি সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইএসএসএবি এর সহ-সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা, এম মাহমুদুর রশিদ, মো. জাকির উদ্দীন আহমেদসহ প্রমুখ।  

আলী আহমেদ খান বলেন, নগরায়ন শিল্পায়ন সঠিকভাবে না হলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সবসময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। বর্তমানে শুধু কল-কারখানায় নয়, আমাদের অবশ্যই স্টল গুলোতেও অনেক বেশি পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকে। আর এর পাশাপাশি ফায়ার সেফটির সরঞ্জামাদি থাকে না। আমাদের তথ্য অনুসারে গত ৬ বছরে সারাদেশে ৮৮ হাজার এর কাছাকাছি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর এ সময় নির্মম মৃত্যুর শিকার হয়েছে ১ হাজার ৪ শত জন ও আহত হয়েছে ৫ হাজার মানুষ।  যদিও বড় ধরনের আগুনের দুর্ঘটনা এখন কমে গেছে মালিকরা আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। আর এ বিষয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রেনিং ও মানুষকে সচেতন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরান ঢাকার অবস্থা এখনো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তবে আমরা মেয়রের সার্বিক সহযোগিতায় পুরান ঢাকা থেকে সব প্রকার কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি সরিয়ে কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও এখনও সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়নি তবে শিগগিরই হয়ে যাবে। এছাড়া গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপসহ জরিমানা ও কার্যকর রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
এমএএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।