শুক্রবার (৩০ মার্চ) রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ এনে রীমার মা জোসনা বেগম জানান, গত কয়েক মাস ধরে রীমার ওপর চলমান অত্যাচারের ধারাবাহিকতায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
রীমার মা জোসনা বেগম জানান, ৩ বছর আগে আলামিনের সঙ্গে রীমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
রীমার শাশুড়ি জোবেদা বেগম ও ননদ বুবলি মিলে মারধরের একপর্যায়ে রীমার চুল কেটে দেন। এতে রীমা তার বাবার বাড়িতে চলে যান। কিন্তু ২০ দিন আগে আলামিন ও বুবলি মিলে পাবনা গিয়ে রীমাকে বুঝিয়ে নারায়ণগঞ্জ ফেরত নিয়ে আসেন।
এদিকে জোসনা বেগমের ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে গত ১০-১২ দিন ধরে প্রস্তুতি চলছিল। বিয়ের আগে রীমা মায়ের কাছে ১০ হাজার টাকা চাইলে দিয়ে দেন এবং রীমাকে বিয়েতে দাওয়াত করেন।
কিন্তু বিয়ের আগের দিন বুধবার (২৮ মার্চ) হঠাৎ করে জোসনা বেগমের কাছে রীমার মৃত্যুর খবর আসে। ফলে বিয়ে বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজালাল জানান, বুধবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪টায় এলাকাবাসী ও পুলিশ বাসার তালা ভেঙে রীমা আক্তারের মরদেহ ও তার দেড় বছরের সন্তান নাহিদকে উদ্ধার করে। নিহতের পরিবার এসে পৌঁছায় শুক্রবার রাতে। এ ঘটনায় স্বামী আলামিনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আলামিন, জোবেদা বেগম ও বুবলি পলাতক আছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রিমা আক্তারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ ফতুল্লার কোতোয়ালেরবাগ এলাকার স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
বিএসকে/এনএইচটি