এসময় ডাকাতরা ১৩ যাত্রীকে কুপিয়ে জখম করে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নেয়। আহতদের মধ্যে ৮-৯ জনকে ভোর ৪টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতে চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু যাত্রী যাচ্ছিলেন। সবার পাসপোর্টসহ টাকার ব্যাগ ডাকাতরা নিয়ে গেছে।
যাত্রীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টায় বাসটি বেনাপোলের উদ্দেশে কুয়াকাটা থেকে রওনা হয়। রাত আড়াইটার দিকে বাগেরহাটের বারাকপুর এলাকায় পৌঁছালে ১০ জন যাত্রী হঠাৎ ছুরি-আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারা অন্য যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু লুট করে। এসময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে চালক-হেলপারসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন।
তারা আরও জানান, পিরোজপুর থেকে ৭-৮ জন লোক যাত্রীবেশে বাসে উঠে। বারাকপুর এলাকায় এলে তারা গাড়ির চালককে চড়-থাপ্পর মারেন। প্রথমে সবাই ভেবেছিলো খারাপ চালাচ্ছে বলে হয়তো মারছে। পরে ডাকাতরা সবার কাছে যা ছিলো সব একে একে নিয়ে যায়।
গাড়ির হেলপার জামির হোসেন জানান, পিরোজপুর থেকে যাত্রীবেশে ১০ ডাকাত গাড়িতে উঠেছে। তাদের সবার অনলাইনে টিকিট বুকিং ছিলো। বারাকপুর এলাকায় এসে তারা ডাকাতি শুরু করে। ডাকাতির পর তারা সেখানে নেমে গেলে একটি ছোট পিকআপ তাদের তুলে নিয়ে বাগেরহাটের দিকে চলে যায়।
কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগ, বাসের কোনো স্টাফের সঙ্গে ডাকাতদের যোগসাজশ রয়েছে। তা না হলে এতো বড় ডাকাতি সম্ভব হতো না।
ডাকাতির কবলে পড়া কুয়াকাটা এক্সপ্রেস-এর খুলনার কাউন্টার প্রতিনিধি মো. আনাস ডাকাতির পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। এসময় তিনি বলেন, যাত্রীরা সুস্থ হয়ে যে যেখানে যেতে চায় সেখানে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কাটাখালি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ডাকাতির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এমআরএম/আরআর