সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে শিবচর উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী কাঁঠালবাড়ী, দত্তপাড়ার খাড়াকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস ও খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান করে যাচ্ছে বাপেক্স ও সিনোপ্যাক টিমের সদস্যরা। প্রতিদিনই প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি স্পটে খননকাজ করছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
খনন করে ভূ-পৃষ্ঠের গভীরতা, ক্যানেল, লেয়ার পর্যালোচনা করে গ্যাসের সন্ধানে আশাবাদী হয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। প্রতিটি টিমে ১৪০ জন সদস্য এ কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশির সংখ্যক চীনের প্রকৌশলী। প্রতিষ্ঠান দুইটি শিবচর পৌরসভার দাদাভাই হাউজিংয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
বাপেক্সের ড্রিলিং ইনচার্জ প্রকৌশলী আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে এই অঞ্চলের উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গ্যাস বা খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান। গ্যাস পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রাথমিকভাবে ৮০ ভাগ আশাবাদী। পুরোপুরি অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে শিবচরকে কেন্দ্র করে বৃহৎ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে এই এলাকায় শিল্পের বিপ্লব ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এনটি